Skip to main content

তারকাঁটার বেড়া ও সমস্যা

তারকাঁটার বেড়া একটি ভারত সরকারের বলিষ্ঠ পদক্ষেপ যা বলার অপেক্ষা রাখেনা। তারকাঁটার বেড়া ভারতের নিরাপত্তার স্বার্থে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ   যে টা বাইরের শত্রুর অবাধে বিচরণের  সবচেয়ে বড় বাধা। একটি রাষ্ট্রের উন্নয়নের সাথে সাথে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। সুতরাং এই প্রক্রিয়াকে সহযোগিতা করা প্রত্যেকটি ভারতবাসীর দায়িত্ব-ও-কর্তব্য। তেমনি এই প্রক্রিয়ার অংশ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের sipahijala জেলার সোনামুড়া মহাকুমার N.C.Nagar গ্রাম পঞ্চায়েত। 6 বর্গকিমি পঞ্চায়েতের বেশিরভাগ অংশই বলা চলে সীমান্ত থেকে 300 মিটার সীমানার মধ্যে। এলাকার দুই থেকে তিন হাজার জনগণের অধিকাংশ সীমান্তঘেঁষা। এই পরিস্থিতিতে 2005 থেকে 2006 সালের দিকে N.C.Nagar পঞ্চায়েতে  তারকাঁটার বেড়ার কাজ শুরু হয়। প্রথমে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বেড়ার কাজের কিছু ধাপ সম্পন্ন হয়েও যায়। তারপরে শুরু হয় বিপত্তি। যেইমাত্র এলাকাবাসী বুঝতে পারে কিছুদিন পরেই তাদের জীবনে নেমে আসবে ঘন অন্ধকার কারণ এরা কাজ সমাপ্ত হওয়ার পরই বাচ্চা- কাচ্চা , হান্ডি -পাতিল নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুর...

তাহলে আমাদের ভূমিকা কি?

       
             
   পৃথিবীর অস্তিত্ব কি আসলে সংকটজনক?এই প্রশ্নটি আজ চিন্তাশীল মানুষের নিকট সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে ।সেই আদিম যুগ থেকে শুরু করে মানুষ বিভিন্ন প্রতিকূলতা কাটিয়ে আজকের পৃথিবীর রূপ দিতে পেরেছে ।মানুষ আজ টেকনোলজিকে প্রায় নিজের আয়ত্ত করে নিয়েছে ।টেকনোলজির সহায়তায় মানুষের জীবনযাত্রা আজ উন্নত থেকে উন্নতর পর্যায়ে পৌঁছে  গিয়েছে ।আজকের দিনে মানুষ প্রায় পৃথিবীর সমস্ত গুপ্তধনের দ্বার উন্মোচন করে ফেলেছে।এই অবস্থায় বর্তমান সভ্যতা টিকিয়ে থাকতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় ।তার পরেও আজকের দিনে পৃথিবীর যে অশান্ত পরিবেশ তা পৃথিবীর পূর্বের সমস্ত বর্বর যুগকেও হার মানাবে ।কারণ আজকের সভ্যতা পূর্বের সভ্যতা থেকে সকল প্রকার জ্ঞান বিজ্ঞানে অনেক উন্নত, অনেক পরিপোক্ত,অনেক মজবুত ।পূর্বের সভ্যতা একদিকে যেমন সৃষ্টি দেখেছে  কিন্তু আজকের সভ্যতা সৃষ্টি এবং ধ্বংস উভয় দেখেছে।তারপরেও এমন কেন?  চোখ বন্ধ করে একাগ্রচিত্বে চিন্তা করলে দেখা যায় চারদিকে শুধু হাহাকার, চারিদিকে শুধু মানুষে মানুষে ঘৃণা, চারিদিকে শুধু অশ্লীলতা, চারিদিকে শুধু অসহনশীল পরিবেশ,  চারিদিকে শুধু হিংসা -দ্বেষ আর প্রতিহিংসা, চারিদিকে শুধু শক্তির প্রতিযোগীতা ।এই অবস্থায় এক শ্রেণীর মানুষ শিকার আর অন্য আর এক শ্রেণির যেন শিকারী ।সঠিক কি ,ভূল কি  তার বালাই কে করে ?এটা যেন একটা রনক্ষেএ ।এক শ্রেণীর মানুষ লাগাতর লাঞ্ছিত, বঞ্চিত, অত্যাচারিত, শোষিত, নিপীড়িত, হত্যা, ধর্ষণ এমন কোন বর্বরতা বাদ নেই যা তাদের উপর হচ্ছে না আর অন্য দিকে আর এক শ্রেণীর মানুষ তাদের সকল প্রকার কুকর্মতাকে অর্থ বল ,বাহু বল আর উন্নত মস্তিষ্কের সহায়তায় বৈধতা দিয়ে যাচ্ছে ।মনে হয়  শিল্পীর তুলির রং  শেষ হয়ে গেছে, মনে হয় কবির  খাতার পাতা শেষ হয়ে গেল গেছে, মনে হয় বুদ্ধিজীবীরা এক মায়ার জালে আবদ্ধ হয়ে গেছে, তারই মধ্যে যেন ছদ্মবেশীরা তাদের তান্ডবলীলা চালাচ্ছে এত নিষ্ঠুরতা, এত কঠোরতা, এত হৃদয়হীনতা ,এত ছলনা ---তা প্রকৃতি কিভাবে সহ্য করবে? কারণ প্রকৃতির কোন জাত নেই, প্রকৃতির কোন ধর্ম নেই, প্রকৃতির কোন বর্ণ নেই ।প্রকৃতি সবসময় দিতে জানে, নেওয়ার প্রয়োজন প্রকৃতির নেই ।তাই মনে হয় প্রকৃতি যে দিন হিসেব টান দিবে সেই দিন আর আমাদের নিস্তার নেই ।কারণ সীমা লঙ্ঘন কারীদের প্রকৃতি পূর্বে ও নিস্তার দেয় নাই, আজ ও দিবে না এবং ভবিষ্যতে ও দিবে না ।সভ্যতার ক্রমবিকাশ মানুষকে এত নিষ্ঠুরতা বানিয়েছে যা কিনা আফ্রিকার জঙ্গলের একটি ক্ষুধার্ত সিংহকে  ও হার মানায় ।ডিসকভারী চ্যানেল অনেকে দেখেছে কিভাবে একটি সিংহী  একটি হরিণের বাচ্চাকে না খেয়ে অনাহারে অনেকদিন ধরে পাহাড়া দিয়েছে।কিন্তু মানুষ বলে দাবি করা কিছু প্রাণী আজ কিভাবে একটি ছোট শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করতে পারে তাও দেখাচ্ছে, যে শিশুটি নিজেও জানে না সে কে? তার কি অপরাধ? সে কোন ধর্মালম্বী,সে কোন দেশের, সে কোন জাতির, সে কোন লিঙ্গের; সোস্যাল মিডিয়াতে আজ প্রতিনিয়ত দেখা যাচ্ছে এমন চিত্র যা মানুষের মনুষ্যত্ব বোধের উপর প্রশ্ন চিহ্ন দাড়  করিতেছে।এই ঘটনাগুলো কে বা কারা করছে, সঠিক  কি ভুল  তা বিবেচনার বিষয় নয় কিন্তু এমনটা হচ্ছে তা কিন্তু এক বাক্যে স্বীকার করছে।এমন হৃদয় বিদারক ঘটনা আমাদের নিজেদের সঙ্গে হতে পারে; একথা ভাবলেও আমাদের  শরীর শিউরে ওঠে ।বাস্তবে কিন্তু প্রতিনিয়ত হচ্ছে: আমরা বুদ্ধিজীবীরা এগুলো দেখছি, কেউবা দুঃখ প্রকাশ করছি, কেউবা এই বিষয়গুলো এড়িয়ে  যাচ্ছি, এটাই কি আমাদের প্রকৃত মনুষ্যত্ববোধ?
 কেন যেন মনে হচ্ছে আজ সততা, সহমর্মিতা, সহনশীলতা, প্রতিবাদ করার মতো বিষয়গুলো  যেন  মানুষরূপী হাঙরদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে ।দেখা যাচ্ছে আজ কোথাও কোথাও পশু  পাখিদের  নিরাপত্তা, সংরক্ষণ  ও স্বাধীনতার মতো বিষয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ও জাতীয়  থেকে  আন্তর্জাতিক আইন  প্রণয়ন  হচ্ছে  পক্ষান্তরে  ঐ অঞ্চলে বসবাসকারী এক শ্রেণীর মানুষকে নির্মম ভাবে হত্যা, ধর্ষণ, এমন কি শারীরিক, মানসিক ও  অর্থনৈতিক  ভাবে  বঞ্চিত  হতে হচ্ছে ।মনে হয় হত্যা, ধর্ষণ, নিপীড়ন, উত্পীড়ন, নিকৃষ্ট থেকে  নিকৃষ্টতম কর্মের প্রতিযোগীতা চলছে I 

Popular posts from this blog

গণিতের ইতিহাস (History of Mathematics )

             গণিতের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হলো, যা গননা বা হিসেব করে পাওয়া যায় ।আবার গণিতের ইংরেজি প্রতিশব্দ "ম্যাথমেটিকস" এসেছে গ্রীকভাষা থেকে ।"ম্যাথমেটিকস " কথাটির প্রকৃত অর্থ" শিক্ষা " প্রথমে হয়ত উক্ত  অর্থেই ব্যবহার করা হতো ।পরে শব্দটি ব্যাপক অর্থে -অর্থাৎ আমরা" গণিত " কথাটির  দ্বারা যা বুঝি সেই অর্থে ব্যবহৃত হতে থাকে ।         বাংলা" গণিত "শব্দটি এসেছে গণ্ ধাতুতে ত প্রত্যয় যোগ করে ।গণ্ শব্দের অর্থ দুটি ।এক অর্থে গণনা বা হিসাব এবং অপর অর্থে সমষ্টি ।           পন্ডিতেরা গণিতের ইতিহাসকে প্রধান চারটি যুগে ভাগ করেছেন ।প্রথম যুগ -প্রাগৈতিহাসিক যুগ।এই যুগের সীমারেখা নির্দেশ করা বড় কঠিন ।তবুও ধরা যেতে পারে,এর স্থায়িত্বকাল প্রস্তর যুগ থেকে খ্রীস্টপূর্ব একহাজার অব্দ পর্যন্ত ।তবে তখন গণিতটা কেবলমাত্র হিসেব নিকাশের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল এবং ব্যবহারিক প্রয়োজনে কিছুটা জ্যামিতিক চর্চা হয়েছিল ।তাদের সে জ্যামিতি আবার ছিল পরিমিতির নামান্তর ।কেউ কেউ আবার মনে করেন ,এই যুগের শেষের দিকে ভগ্নাংশ ও দশমিকের প্রচলন হ...

গণিত শেখার সহজ উপায়

                                               গনিত বা অংক বেশির ভাগ ছাত্র -ছাত্রীর নিকট যেন একটা আতঙ্ক ।আসলে এই আতঙ্কটা কিন্তু এক দুই দিনে সৃষ্টি হয় নাই ।এটা আসলে দীর্ঘদিনের ফাঁকিবাজির ফল ।অংকপ্রিয় ছাত্র ছাত্রীর নিকট এটা আবার ভালো ফলাফলের অক্সিজেন ।কারন অংকই এমন একটা বিষয় যেটা ল্যামার্কের সূত্রানুসারে মস্তিষ্কের পূর্ণ বিকাশ কিংবা সুগঠিত করতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করে ।লেখা পড়ার মনোযোগ বৃদ্ধিতে ও অংকের তুলনা নেই ।এমনিতে প্রত্যেক মানুষই অনিচ্ছা সত্ত্বেও অংক বা হিসেব করে চলতে হয় ।তাই প্রত্যেক  মানুষের উচিত পরবর্তী  প্রজন্মকে অর্থাৎ সন্তান সন্ততিকে গনিতে পারদর্শিতার সহিত লেখাপড়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ।গনিতে পারদর্শিতা এমনিতেই হয় না, তাকে তৈরী করে নিতে হয় ।এব্যাপারে আমি কিছু ধারণা দিতে চাই যেটা হয়তো আপনার ছেলে মেয়ে উপকৃত হতে পারে ---- প্রতিটি সফল...

সংখ্যার ধারণা (what is number)

গণিত চর্চায় সংখ্যার গুরুত্ব অপরিসীম। ক্লাস নাইনে প্রথমে যে অধ্যায়টি বিদ্যমান সেটি হলো নাম্বার বা সংখ্যা। সংখ্যা শব্দটি শুনতে খুব সহজ মনে হলেও আসলে কিন্তু এত সহজ নয়। কারণ দীর্ঘদিন শিক্ষকতার পর যে জিনিসটা পরিলক্ষিত করলাম সেটা হলো অধিকাংশ ছাত্রী ছাত্রীর গনিতের দুর্বলতা । গণিত মানেই আতঙ্ক। কারণ একটাই তা হল গণিতের প্রাথমিক বিষয়ে অভিজ্ঞতার অভাব। মানেটা সহজ, সংখ্যার খুঁটিনাটি  বিষয়ে জ্ঞানের অভাব। অনেকেই বলতে পারে 'সংখ্যা 'এটার মধ্যে জটিলতা ? কিন্তু না, জটিলতা কতটুকু আছে সম্পূর্ণ লেখাটা পড়লে বুঝতে পারবেন না। এ বিষয়টা শুধু যারা অশিক্ষিত বা কম শিক্ষিত তাদের ক্ষেত্রে নয় বহু ক্ষেত্রে B.A.,M.A কিংবা p.hd ক্ষেত্রেও হতে পারে। যদি ভুল বলে থাকি তাহলে নিচের বিষয়গুলো পড়েন, তাহলে তার সত্যতা জানতে পারবেন। আসলে কাউকে হার্ট করার বিষয় নয় কারণ ভালো ভালো বিশেষজ্ঞ ও একথা দাবি করতে পারে না যে আমি অংকের সব জানি বা জানার দাবী করি। আর একটা বিষয় আমি নিজেও স্বীকার করি যে সংখ্যা বিষয়ে আমি অনেক কিছু না জানলেও অন্ততপক্ষে আমার বা আপনার ছেলে মেয়েদের অংকের উপকারিতায় আসবে এমন বিষয়গুলো আলোচনার চেষ...