গণিত শেখার সহজ উপায়

                                              

গনিত বা অংক বেশির ভাগ ছাত্র -ছাত্রীর নিকট যেন একটা আতঙ্ক ।আসলে এই আতঙ্কটা কিন্তু এক দুই দিনে সৃষ্টি হয় নাই ।এটা আসলে দীর্ঘদিনের ফাঁকিবাজির ফল ।অংকপ্রিয় ছাত্র ছাত্রীর নিকট এটা আবার ভালো ফলাফলের অক্সিজেন ।কারন অংকই এমন একটা বিষয় যেটা ল্যামার্কের সূত্রানুসারে মস্তিষ্কের পূর্ণ বিকাশ কিংবা সুগঠিত করতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করে ।লেখা পড়ার মনোযোগ বৃদ্ধিতে ও অংকের তুলনা নেই ।এমনিতে প্রত্যেক মানুষই অনিচ্ছা সত্ত্বেও অংক বা হিসেব করে চলতে হয় ।তাই প্রত্যেক  মানুষের উচিত পরবর্তী  প্রজন্মকে অর্থাৎ সন্তান সন্ততিকে গনিতে পারদর্শিতার সহিত লেখাপড়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ।গনিতে পারদর্শিতা এমনিতেই হয় না, তাকে তৈরী করে নিতে হয় ।এব্যাপারে আমি কিছু ধারণা দিতে চাই যেটা হয়তো আপনার ছেলে মেয়ে উপকৃত হতে পারে ----

প্রতিটি সফল ব্যাক্তির সফলতার পেছনে তার মায়ের আত্মবলিদান কেউই অস্বীকার করার কথা নয় ।পুথিগত শিক্ষায় পারদর্শী একজন মা-ই কেবল সঠিক সময়ে সঠিক ভাবে বর্ণ পরিচয় শিক্ষা দিতে সক্ষম ।যদি কোন শিশুকে সঠিক ভাবে বর্ন পরিচয় করানো না হয় তাহলে সারা জীবন ধরে শিশুটি  তার জন্য  খেসারত দিতে হয় ।তাই বলতে হয় একজন আদর্শ মা-ই কেবল ভবিষ্যতে গনিতের সাফল্যের ধারাবরাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন রাখতে পার,কথায় আছে স্বাস্থ্যই সম্পদ।ভালো স্বাস্থ্য যে কোন কাজের উদ্দীপনা ও উত্সাহে বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে ।গণিতে উত্সাহ বা মনে রাখার জন্য স্থিতিশীল মানসিকতার প্রয়োজন যা একমাত্র পুষ্টি সম্পন্ন স্বাস্থ্যের পক্ষেই সম্ভব ।তাই প্রতিটি পিতা মাতার উচিত তার সন্তানকে সঠিক সময়ে  সঠিক পুষ্টিকর আহারের জোগান দেওয়া যাতে করে তার অংকের মতো বিষয়ে আগ্রহের ঘাটতি দেখা না l   ছাত্র ছাত্রীদের অংকে দূর্বলতার জন্য সবচেয়ে দায়ী  যে বিষয়টা সেটা হলো ক্লাস অনুযায়ী সম্পূর্ণ সিলেবাস সঠিকভাবে পর্যালোচনা না করা ।বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় পারিবারিক কলহ বা  সন্তানের প্রতি অমনোযোগীতা সিলেবাসের এমন কিছু গুরুত্বপূর্ন পাঠ ছাত্র ছাত্রীদের থেকে বাদ পড়ে যেটা ভবিষ্যতে অংকে সাফল্যের সবচেয়ে বড়  সমস্যা দেখা দেয় ।আবার অনেক সময় দেখা যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে ছাত্র  ছাত্রীদের পিতা মাতা এমন চিন্তা করে যে  এখন ছোট্ট  ,ভবিষ্যতে ভালো করে দেখব্ ,কিন্তু আসলে তার ভালো করে জানা উচিত যে করে সে আজই করে, এখনই করে, পরে নয়।গণিতের  ধারাবাহিকতা এমন এক বিষয় যা যে কোন শিশুর সাফল্যকে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে সক্ষম ।অনেক সময় দেখা যায় অধিকাংশ ছাত্র ছাত্রীই গণিতের অসম্পূর্ণ ধারণা নিয়ে আত্মতৃপ্তি পোষণ করে থাকে, যেটা তার ধারাবাহিকতাকে বিঘ্নিত করে ।তাই বলা যায় ধারাবাহিক গণিত চর্চাই সাফল্যের  মূল চাবিকাঠি,বিদ্যালয়ে ধারাবাহিক উপস্থিত থাকা ও গণিতের সাফল্যের আর একটি বিষয় ।গ্রাম অঞ্চলের বেশিরভাগ ছাত্র ছাত্রী দেখা যায় কারণে অকারণে স্কুলে উপস্থিতির হার তুলনা মূলক ভাবে অনেক কম ।সবচেয়ে লোকসান তখন হয় যখন একজন ছাত্র বা ছাত্রী পর্যায়ক্রমিক ভাবে কিছু দিন পর পর স্কুলে অনুপস্থিত থাকে ।তাই প্রতিটি অভিভাবকের উচিত তার ছেলে বা  মেয়ের স্কুলে উপস্থিতি নিশ্চিত করা, যাতে ভবিষ্যতে অংকের বিষয়ে বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে না lসভ্যতার এত অগ্রগতি সত্বেও কোয়ালিটি শিক্ষায় আমাদের অগ্রগতি কিন্তু তেমন ভাবে প্রসার করতে পারি নাই ,যার প্রভাব আমাদের ছেলে  মেয়েরা কিন্তু প্রতিনিয়ত ভোগ  করতে হচ্ছে ।বলতে দ্বিধা নেই ,বর্তমানে বিভিন্ন ক্লাসের অংকের যে সিলেবাস পঠন পাঠনে ছাত্র ছাত্রীদের প্রায়শই অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় ।এই অবস্থায় এই সব অসুবিধা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় কোন না কোন শিক্ষকের দ্বারস্থ হতে হয় ।তখন  যদি উপযুক্ত শিক্ষকের ঘাটতি থাকে, তখন  আরও অংকের  দূর্বলতা কাটিয়ে ওঠা  কঠিন হয়ে পড়ে ।