Skip to main content

তারকাঁটার বেড়া ও সমস্যা

তারকাঁটার বেড়া একটি ভারত সরকারের বলিষ্ঠ পদক্ষেপ যা বলার অপেক্ষা রাখেনা। তারকাঁটার বেড়া ভারতের নিরাপত্তার স্বার্থে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ   যে টা বাইরের শত্রুর অবাধে বিচরণের  সবচেয়ে বড় বাধা। একটি রাষ্ট্রের উন্নয়নের সাথে সাথে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। সুতরাং এই প্রক্রিয়াকে সহযোগিতা করা প্রত্যেকটি ভারতবাসীর দায়িত্ব-ও-কর্তব্য। তেমনি এই প্রক্রিয়ার অংশ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের sipahijala জেলার সোনামুড়া মহাকুমার N.C.Nagar গ্রাম পঞ্চায়েত। 6 বর্গকিমি পঞ্চায়েতের বেশিরভাগ অংশই বলা চলে সীমান্ত থেকে 300 মিটার সীমানার মধ্যে। এলাকার দুই থেকে তিন হাজার জনগণের অধিকাংশ সীমান্তঘেঁষা। এই পরিস্থিতিতে 2005 থেকে 2006 সালের দিকে N.C.Nagar পঞ্চায়েতে  তারকাঁটার বেড়ার কাজ শুরু হয়। প্রথমে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বেড়ার কাজের কিছু ধাপ সম্পন্ন হয়েও যায়। তারপরে শুরু হয় বিপত্তি। যেইমাত্র এলাকাবাসী বুঝতে পারে কিছুদিন পরেই তাদের জীবনে নেমে আসবে ঘন অন্ধকার কারণ এরা কাজ সমাপ্ত হওয়ার পরই বাচ্চা- কাচ্চা , হান্ডি -পাতিল নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুর...

গণিতের ইতিহাস (History of Mathematics )


           

 গণিতের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হলো, যা গননা বা হিসেব করে পাওয়া যায় ।আবার গণিতের ইংরেজি প্রতিশব্দ "ম্যাথমেটিকস" এসেছে গ্রীকভাষা থেকে ।"ম্যাথমেটিকস " কথাটির
প্রকৃত অর্থ" শিক্ষা " প্রথমে হয়ত উক্ত  অর্থেই ব্যবহার করা হতো ।পরে শব্দটি ব্যাপক অর্থে -অর্থাৎ আমরা" গণিত " কথাটির  দ্বারা যা বুঝি সেই অর্থে ব্যবহৃত হতে থাকে ।
        বাংলা" গণিত "শব্দটি এসেছে গণ্ ধাতুতে ত প্রত্যয় যোগ করে ।গণ্ শব্দের অর্থ দুটি ।এক অর্থে গণনা বা হিসাব এবং অপর অর্থে সমষ্টি ।
          পন্ডিতেরা গণিতের ইতিহাসকে প্রধান চারটি যুগে ভাগ করেছেন ।প্রথম যুগ -প্রাগৈতিহাসিক যুগ।এই যুগের সীমারেখা নির্দেশ করা বড় কঠিন ।তবুও ধরা যেতে পারে,এর স্থায়িত্বকাল প্রস্তর যুগ থেকে খ্রীস্টপূর্ব একহাজার অব্দ পর্যন্ত ।তবে তখন গণিতটা কেবলমাত্র হিসেব নিকাশের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল এবং ব্যবহারিক প্রয়োজনে কিছুটা জ্যামিতিক চর্চা হয়েছিল ।তাদের সে জ্যামিতি আবার ছিল পরিমিতির নামান্তর ।কেউ কেউ আবার মনে করেন ,এই যুগের শেষের দিকে ভগ্নাংশ ও দশমিকের প্রচলন হয়েছিল ।
                                 

প্রাগৈতিহাসিক যুগের পরবর্তী যুগকে বলা হয় প্রাচীন যুগ।এই যুগে গণিতের অনেকগুলি শাখার উদ্ভব  হয়েছিল গ্রীক ও ভারতীয় বিজ্ঞানিদের দ্বারা ।বিশেষ করে পাটীগণিত ও জ্যামিতি চূড়ান্ত রূপ গ্রহণ করেছিল এবং জন্ম হয়েছিল বড় গণিতের ।
প্রাচীন যুগে গণিতের যে শাখাটি সর্বাগ্রে সকলের দৃষ্টি  আকর্ষণ করে, সেটি হলো জ্যামিতি ।মিশর ,ব্যাবিলন,ভারতবর্ষ প্রভৃতি দেশে উদ্ভুত জ্যামিতিকে সংগ্রহ করে গ্লীকরাই প্রথম প্রণালীবদ্ধ জ্যামিতির সূত্রপাত করেন ।এ বিষয়ে যার দানকে সবার আগে স্বীকার করতে হয়, তিনি হলেন ইউক্লিড।থেলস্,পীথাগোরাস প্রভৃতি গণিতজ্ঞদের অবদান ও কম গুরুত্বপূর্ণ নয় ।গ্রীকদের দ্বারা আবিষ্কৃত প্রধান প্রধান জ্যামিতিক তথ্যগুলি হলো বৃত্ত কে সমদ্বিখন্ডিত করণ এবং বৃত্তের পরিধির সজ্ঞে ব্যাসের সম্পর্ক নির্ণয় ,সমকোণী ত্রিভুজের অতিভূজ সম্পর্কিত উপপাদ্য, সদৃশচিত্র বা "সিমিলার ফিগারস " এর কয়েকটি  সূত্র ।বীজগণিতের দ্বিঘাত সমীকরণের উদ্ভব সেই প্রাচীন যুগে ।এ যুগের আর একটি মূল্যবান অবদান, বীজগণিতের সাধারণ নিয়মের সাহায্যে জ্যামিতিক সমস্যাগুলির সমাধান ।এই বিষয়ে উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব প্রদর্শন করেছিলেন ভারতবর্ষের আর্যভট্ট ও ব্রম্মগুপ্ত ।অন্যদিকে পাটীগণিতের ক্ষেত্রেও ভারতবর্ষ কৃতিত্ব প্রদর্শন করেছিল ।ন'টি সংখ্যা এবং 0 দ্বারা সংখ্যা প্রকাশ করার পদ্ধতি ভারত আবিষ্কার করে যে মহদুপকার সাধন করেছে তার তুলনা খুঁজে পাওয়া যাবে না ।রোমান আমল পর্যন্ত কতকগুলি চিহ্ন বা সংকেতের দ্বারা বড় বড় সংখ্যাগুলি প্রকাশ করা হতো ।তবে সে সংখ্যা হাজার দুহাজারের বেশি নয় ।তাদের সে সংখ্যা গননা শিক্ষা করতেও যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হতো ।যখন ভারত 0 ব্যবহার করে কোটি কোটি সংখ্যা প্রকাশ করার পদ্ধতি আবিষ্কার করলো তখনই সারা বিশ্ব সেই পদ্ধতিকে  একেবারে লুফে নিল ।কিন্তু দুর্ভাগ্য এই পদ্ধতিটির আবিস্কারের নাম পাওয়া যায় না ।
                        

Popular posts from this blog

গণিত শেখার সহজ উপায়

                                               গনিত বা অংক বেশির ভাগ ছাত্র -ছাত্রীর নিকট যেন একটা আতঙ্ক ।আসলে এই আতঙ্কটা কিন্তু এক দুই দিনে সৃষ্টি হয় নাই ।এটা আসলে দীর্ঘদিনের ফাঁকিবাজির ফল ।অংকপ্রিয় ছাত্র ছাত্রীর নিকট এটা আবার ভালো ফলাফলের অক্সিজেন ।কারন অংকই এমন একটা বিষয় যেটা ল্যামার্কের সূত্রানুসারে মস্তিষ্কের পূর্ণ বিকাশ কিংবা সুগঠিত করতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করে ।লেখা পড়ার মনোযোগ বৃদ্ধিতে ও অংকের তুলনা নেই ।এমনিতে প্রত্যেক মানুষই অনিচ্ছা সত্ত্বেও অংক বা হিসেব করে চলতে হয় ।তাই প্রত্যেক  মানুষের উচিত পরবর্তী  প্রজন্মকে অর্থাৎ সন্তান সন্ততিকে গনিতে পারদর্শিতার সহিত লেখাপড়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ।গনিতে পারদর্শিতা এমনিতেই হয় না, তাকে তৈরী করে নিতে হয় ।এব্যাপারে আমি কিছু ধারণা দিতে চাই যেটা হয়তো আপনার ছেলে মেয়ে উপকৃত হতে পারে ---- প্রতিটি সফল...

সংখ্যার ধারণা (what is number)

গণিত চর্চায় সংখ্যার গুরুত্ব অপরিসীম। ক্লাস নাইনে প্রথমে যে অধ্যায়টি বিদ্যমান সেটি হলো নাম্বার বা সংখ্যা। সংখ্যা শব্দটি শুনতে খুব সহজ মনে হলেও আসলে কিন্তু এত সহজ নয়। কারণ দীর্ঘদিন শিক্ষকতার পর যে জিনিসটা পরিলক্ষিত করলাম সেটা হলো অধিকাংশ ছাত্রী ছাত্রীর গনিতের দুর্বলতা । গণিত মানেই আতঙ্ক। কারণ একটাই তা হল গণিতের প্রাথমিক বিষয়ে অভিজ্ঞতার অভাব। মানেটা সহজ, সংখ্যার খুঁটিনাটি  বিষয়ে জ্ঞানের অভাব। অনেকেই বলতে পারে 'সংখ্যা 'এটার মধ্যে জটিলতা ? কিন্তু না, জটিলতা কতটুকু আছে সম্পূর্ণ লেখাটা পড়লে বুঝতে পারবেন না। এ বিষয়টা শুধু যারা অশিক্ষিত বা কম শিক্ষিত তাদের ক্ষেত্রে নয় বহু ক্ষেত্রে B.A.,M.A কিংবা p.hd ক্ষেত্রেও হতে পারে। যদি ভুল বলে থাকি তাহলে নিচের বিষয়গুলো পড়েন, তাহলে তার সত্যতা জানতে পারবেন। আসলে কাউকে হার্ট করার বিষয় নয় কারণ ভালো ভালো বিশেষজ্ঞ ও একথা দাবি করতে পারে না যে আমি অংকের সব জানি বা জানার দাবী করি। আর একটা বিষয় আমি নিজেও স্বীকার করি যে সংখ্যা বিষয়ে আমি অনেক কিছু না জানলেও অন্ততপক্ষে আমার বা আপনার ছেলে মেয়েদের অংকের উপকারিতায় আসবে এমন বিষয়গুলো আলোচনার চেষ...